বিজেপি নেতাদের হুমকি উড়িয়ে দিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ

20th September 2020 10:00 pm বর্ধমান
বিজেপি নেতাদের হুমকি উড়িয়ে দিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কালনা ) :  বিজেপি নেতার হুমকিকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের  সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।রবিবার বিকালে কালনার মধুপুর খেলার মাঠে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভার মঞ্চ থেকে তিনি বলেন,‘১৯৬৭ সাল থেকে রাজনীতি করছি।মৃত্যুকে ভয় পাই না।কোন নেতা কোথায় দাঁড়িয়ে আমাকে নিয়ে কী বললো তা নিয়ে ভাবি না।’এছাড়াও এইদিন তিনি রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্প সহ অন্যান্য কর্মসূচিকেও তুলে ধরেন।এইদিনের সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কালনা ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী শ্রাবণী পাল, কালনা ১ নং ব্লক সভাপতি শান্তি চাল, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সৌরভ দেবনাথ প্রমুখ।
                  অকুতোভয় মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এইদিন কালনার সভামন্চ থেকে উল্লেখ করেন যে,ছাত্রাবস্থা থেকেই রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি।স্বাভাবিক কারণে অনেক মৃত্যুভয়কে তিনি সামনি সামনি দেখেছেন।আর এইসব বিষয়কে তিনি ফুৎকারে উড়িয়েও দিয়েছেন।ওইসবকে কোনদিনই আমল দেননি।তিনি নিজেই একসময় দলের হয়ে প্রচারের জন্য দেওয়ালে- দেওয়ালে পোষ্টারও মেরেছেন।পায়ে হেঁটে,সাইকেলে চেপে তিনি জনতার দরবারেও পৌঁছে গেছেন তাদের ও এলাকার উন্নয়নের ভাবনা নিয়ে।কয়েকদিন আগেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।সদ্য করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মন্ত্রীকে করোনা যে কাবু করতে পারেনি তা বোঝা গেলো এইদিনের সভামন্চে তার আক্রমণাত্মক বক্তব্যে।প্রথম থেকেই এইদিন সুর চড়ান সপ্তমে।প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে কালনায় এক ডেপুটেশণে এসে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রিমিনাল বলে কটাক্ষ করেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে।একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন স্বপন দেবনাথ ও অনুব্রত মণ্ডল সহ তৃণমূলের গুণ্ডারা আর ছয় মাস বাদ বিকাশ দুবে হয়ে যাবে।আর তারপর থেকেই বেশ উত্তপ্ত হয় পূর্ব বর্ধমান জেলা রাজনীতির ময়দান।ওই বিজেপি নেতার মন্তব্যের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে তার শাস্তিরও দাবি তোলেন বিদ্বজনেরা।আর তারপরেই এইদিন রবিবারের সভামন্চ থেকে সপ্তমে সুর চড়ান স্বপনবাবু।তিনি আরো একধাপ এগিয়ে বলেন,‘আমি 'ক্রিমিনাল' কিনা তা জানেন মানুষই।গণদেবতা রয়েছেন,আমার বাঁচা-মরা তাদের হাতেই।’এইদিনের সভায় বিভিন্ন দল থেকে পন্চাশ জন ব্রাহ্মণ পুরোহিত সহ শতাধিক মানুষ তৃণমূলে যোগ দেন বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।